কোকোর মরদেহ ঢাকায় : দাফন হচ্ছে না সামরিক কবরস্থানে

কোকোর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়য়ে।দেশে এসে পৌঁছেছে বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪২মিনিটে মরদেহটি নিয়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট-১২০ এ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

মরদেহের সাথে কোকোর স্ত্রী, দুই মেয়েসহ মামা শামীম ইস্কান্দার ও ফুফা রয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোকোর লাশ বহনকারী ফ্লাইটটি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে যাত্রা শুরু করে।

দিকে বিমানবন্দরে যেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লা আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী কোকোর কফিন গ্রহণ করেন।

এরপর তার মরদেহ নেয়া হবে গুলশানে বেগম জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে। সেখানে কিছু সময় পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে তার মরদেহ রাখা হবে। পরে সেখান থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জানাজার জন্য তার মরদেহ নেয়ার কথাও জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।

অপরদিকে বনানীর সামরিক কবরস্থানে আরাফাত রহমান কোকোর দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও অনুমনি না পাওয়া বনানীর সাধারণ কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এরই মধ্যে এই কবরস্থানে পরিবারের পক্ষ থেকে জমি কেনা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, আরাফাত রহমান কোকো মালয়েশিয়ার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার পর পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফনের অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু সেনা সদর দফতর থেকে অনুমতি না মেলায় সাধারণ কবরস্থানেই দাফনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর সে অনুযায়ী কবরের জন্য জমি কেনা হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে এ বিষয়ে সন্দেহের কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছিলেন, একজন সেনা কর্মকর্তার সন্তান হিসেবে সামরিক কবস্থাননে দাফন আরাফাত রহমান কোকোর প্রাপ্য। সেলক্ষ্যে লিখিতভাবে সেখানে দাফনের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

তবে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা জানান, বনানীর সামরিক কবরস্থানে কোকোর মরদেহ দাফন করা যাবে কিনা, সে ব্যাপারে তাদের সংশয় রয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ন্যায্য কাজ হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরাফাত রহমান কোকোর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তিনি মা ও বড় ভাই ছাড়াও স্ত্রী ২ মেয়ে রেখে গেছেন।

এদিকে আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি সন্মান জানাতে সোমবার থেকে তিন দিনের শোক পালন করছে বিএনপি। বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ পরছেন।

এই তিনদিন সারা দেশের মসজিদে মসজিদে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল চলছে।

এছাড়া মঙ্গলবার সারা দেশে কোকোর গায়েবানা জানাজা পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।


শীর্ষ খবর বিভাগের আরো খবর...
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন
শিরমাল রুটি শিরমাল রুটি
ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ ও বুড়িগঙ্গা ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ ও বুড়িগঙ্গা
৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা ৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা
বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা
আ. লীগের যেসব হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পাননি আ. লীগের যেসব হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পাননি
গণফোরামে যোগ দিলেন আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ গণফোরামে যোগ দিলেন আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ
ঘোষণা ছাড়াই মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছে বিএনপি ঘোষণা ছাড়াই মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছে বিএনপি
আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যেসব তারকা আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যেসব তারকা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন

কোকোর মরদেহ ঢাকায় : দাফন হচ্ছে না সামরিক কবরস্থানে
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet