ফিরে গেলেন মমতা ,বললেন আস্থা রাখতে

শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন মমতা। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় জানান।ঢাকা ছেড়ে নিজ দেশের উদ্দেশে রওয়ানা দিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিয়ে গেলেন একরাশ প্রত্যাশা আর আশা।

বিশেষ একটি বিমানে চড়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওয়ানা দেন তিনি। এসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তাকে বিদায় শুভেচ্ছা জানান।

শনিবার রাতে ফিরে যাবার সময়ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমান বন্দরে তার ওপর আস্থা রাখতে বললেন।

“আমার ওপর আস্থা রাখুন। বিষয়গুলোর দ্রুত সহজ সমাধানে আমি আমার সাধ্যমতো কাজ করব। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।”

একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পর সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতা কুশল বিনিময় করেন। এর আগে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে মমতা তার প্রতি আস্থা রাখতে বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, আমার দিক থেকে এলবিএর (স্থল সীমান্ত চুক্তি) প্রবলেম সলভ করে দিয়েছি। তিস্তায়ও আস্থা রাখুন।

শনিবার দুপুরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে অচিরেই ইতিবাচক ভূমিকা নেওয়ার আশ্বাস দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুরে সফররত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে গণভবনে আপ্যায়িত করেন। দুই বাংলার দুই নেত্রীর মধ্যে অনেকদিন পর সরাসরি কথা হয়, আলাপ হয়।

ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ইলিশ চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পানি আসলে, ইলিশ যাবে।’

শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন মমতা। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় জানান।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর প্রসঙ্গে বলেন, “আনুষ্ঠানিক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক না হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের গুরুত্ব রয়েছে। কেননা তার সফরে দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলো দ্রুত মীমাংসার জন্য পশ্চিমবাংলার পক্ষ থেকে যে সহায়তা প্রয়োজন, এই সফরে তা পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। পশ্চিমবাংলার পক্ষ থেকে যে সহযোগিতার প্রয়োজন, সেই সহযোগিতা তাদের কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দিবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢাকা সফরে একাধিকবার বলেছেন।”

শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, “সীমান্ত চুক্তি, তিস্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চুক্তি হওয়ার বিষয়টি ঝুলে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী, এখন চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন ও কার্যকর করা সহজ হবে।”

২০১১ সালের মে মাসে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার বাংলাদেশে প্রথম সফর। ওই বছর তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সঙ্গে ঢাকা সফরের কথা থাকলেও দুই দেশের মধ্যে তিন্তা পানি বণ্টন চুক্তির বিরোধিতা করে শেষ মুহূর্তে মমতা আসেননি।

বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঢাকায় আসেন। সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৪০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ছিল।

মমতা রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত যৌথ চেম্বারের উদ্যোগে আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক বৈঠকে অংশগ্রহণ এবং দুইদেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।


জাতীয় বিভাগের আরো খবর...
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন
শিরমাল রুটি শিরমাল রুটি
ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ ও বুড়িগঙ্গা ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ ও বুড়িগঙ্গা
৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা ৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা
বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা
আ. লীগের যেসব হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পাননি আ. লীগের যেসব হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পাননি
গণফোরামে যোগ দিলেন আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ গণফোরামে যোগ দিলেন আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ
ঘোষণা ছাড়াই মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছে বিএনপি ঘোষণা ছাড়াই মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছে বিএনপি
আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যেসব তারকা আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যেসব তারকা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন

ফিরে গেলেন মমতা ,বললেন আস্থা রাখতে
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet