যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসি

ফাইল ফটো

মুক্তিযুদ্ধকালে যার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছিল, সেই মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির রায় ঘোষিত হয়েছে আজ।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর প্রধান বিচারপতি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসাইন ও বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রসিকিউশন ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারা আদালত ছিল জনাকীর্ণ।

ট্রাইব্যুনালে নিজামীর বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগের মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতাসহ আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ১, ৩, ৭ ও ৮ নম্বর অভিযোগে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি আটটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বিচারক রায়ে বলেন, “এই অপরাধের পরও যদি ফাঁসি না দেওয়া হয়, তাহলে তা হবে বিচারের ব্যর্থতা।”

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নিজামীকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এরপর বেলা ১১টার কয়েক মিনিট আগে নিজামীকে হাজতখানা থেকে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় আনা হয়। কাঠগড়ায় তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। এ সময় তাঁর পরনে ছিল সাদা পাজামা ও পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবির ওপরে ছিল খয়েরি রঙের কোটি। আর মাথায় জিন্নাহ টুপি।

নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার ধার্য দিনে আজ বেলা ১১টায় ট্রাইব্যুনালের এজলাসে আসেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর তিন বিচারপতি। এরপর নিজামীর উপস্থিতিতে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে এ রায় পড়া শুরু হয়। ২০৪ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায়ের প্রথমাংশ পড়েন বিচারপতি আনোয়ারুল হক। এরপর সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন রায়ের পর্যবেক্ষণগুলো পাঠ শুরু করেন। এরপর দুপুর সোয়া ১২টা থেকে ১২টা ২০ মিনিটের মধ্যে মূল রায় পাঠ করে সাজা ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহমান।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটি ট্রাইব্যুনালের দশম রায়। আর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে এটিই প্রথম রায়।

এ রায়ের মধ্য দিয়ে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলা মামলাটির নিষ্পত্তি হলো।

রায় ঘোষণা উপলক্ষে নিজামীকে আজ সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ জন্য গতকাল সন্ধ্যায় তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ২০১২ সালের ২৮ মে নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত বছরের ১৩ নভেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়। তবে রায় ঘোষণার আগেই ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যান ট্রাইব্যুনাল-১ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর। ৫৩ দিন পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ দ্বিতীয় দফায় মামলার সমাপনী যুক্তি শোনেন। ২৪ মার্চ মামলাটি দ্বিতীয় দফায় রায়ের অপেক্ষায় রাখা হয়।

তিন মাস পর গত ২৪ জুন এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। ওই দিন কারা কর্তৃপক্ষ নিজামীকে হাজির না করে তিনি অসুস্থ বলে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। এর পর থেকে তৃতীয় দফায় মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।

এদিকে গত ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ে নিজামীসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খানের জবানবন্দি উপস্থাপনের মধ্যে দিয়ে ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন মোট ২৬ জন। আর নিজামীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন চারজন।

নিজামীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

নিজামীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২)(এ), ৩(২)(সি), ৩(২)(জি), ৩(২)(এইচ), ৪(১), ৪(২) ধারায় মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মোট ১৬টি ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৪(১) ও ৪(২) ধারায় আনা হয় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগ।

প্রথম অভিযোগঃ পাবনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা কছিমুদ্দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচার চালাতেন। একাত্তরের ৪ জুন পাকিস্তানি সেনারা তাকে অপহরণ করে নূরপুর পাওয়ার হাউসের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে নিজামীর উপস্থিতিতে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। ১০ জুন তাকে ইছামতী নদীর পাড়ে অন্যান্য ব্যক্তির সঙ্গে হত্যা করা হয়।

দ্বিতীয় অভিযোগঃ একাত্তরের ১০ মে বেলা ১১টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বাউশগাড়ি গ্রামের রূপসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকারদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় নিজামী বলেন, শিগগিরই পাকিস্তানি সেনারা শান্তি রক্ষার জন্য আসবে। ওই সভার পরিকল্পনা অনুসারে পরে বাউশগাড়িসহ দু’টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে। প্রায় ৩০-৪০ জন নারীকে ধর্ষণ করে রাজাকাররা।

তৃতীয় অভিযোগঃ একাত্তরের মে মাসের শুরু থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্প ছিল। রাজাকার ও আলবদর বাহিনীও সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে। নিজামী ওই ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র করতেন।

চতুর্থ অভিযোগঃ পাবনার করমজা গ্রামে নিজামীর নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় হাবিবুর রহমান নামে একজনকে হত্যা করা হয়। ৮ মে নিজামীর রাজাকার ও আলবদর বাহিনী করমজা গ্রাম ঘিরে ফেলে ৯ জনকে হত্যা করে। রাজাকার বাহিনী একজনকে ধর্ষণসহ বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।

পঞ্চম অভিযোগঃ একাত্তরের ১৬ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে নিজামীর সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আড়পাড়া ও ভূতেরবাড়ি গ্রামে হামলা চালিয়ে ২১ জন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে। এ সময় বাড়ি-ঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ষষ্ঠ অভিযোগঃ নিজামীর নির্দেশে ২৭ নভেম্বর পাবনার ধুলাউড়ি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে অভিযান চালায় রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা। তারা গ্রামের ডা. আব্দুল আউয়াল ও তার আশেপাশের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৫২ জনকে হত্যা করে।

সপ্তম অভিযোগঃ ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে নিজামীর তথ্যমতে পাকিস্তানি বাহিনী পাবনার বৃশালিখা গ্রাম ঘিরে ফেলে সোহরাব আলীকে আটক করে তার স্ত্রী ও সন্তানদের সামনে হত্যা করে।

অষ্টম অভিযোগঃ ৩০ আগস্ট নিজামী নাখালপাড়ার পুরোনো এমপি হোস্টেলে গিয়ে সেখানে আটক রুমী, বদি, জালালদের হত্যার জন্য পাকিস্তানি সেনাদের প্ররোচনা দেন।

নবম অভিযোগঃ নিজামীর তথ্যমতে পাকিস্তানি বাহিনী পাবনার বৃশালিখা গ্রাম ঘিরে ফেলে ৭০ জনকে হত্যা ও ৭২টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে।

দশম অভিযোগঃ পাবনার সোনাতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র কুণ্ডু প্রাণ বাঁচাতে ভারতে চলে যান। নিজামীর নির্দেশে রাজাকাররা তার বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়।

একাদশ অভিযোগঃ একাত্তরের ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউটে ইসলামী ছাত্রসংঘ আয়োজিত সভায় নিজামী বলেন, পাকিস্তান আল্লাহর ঘর। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তিনি প্রিয় ভূমির হেফাজত করছেন। দুনিয়ার কোনো শক্তি পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে পারবে না।

দ্বাদশ অভিযোগঃ ২২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক একাডেমি হলে আল মাদানীর স্মরণসভায় নিজামী বলেন, পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে শত্রুরা অস্ত্র হাতে নিয়েছে। তিনি পাকিস্তানের শত্রুদের সমূলে নির্মূল করার আহ্বান জানান।

ত্রয়োদশ অভিযোগঃ ৮ সেপ্টেম্বর প্রতিরক্ষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ছাত্রসংঘের সভায় নিজামী বলেন, হিন্দুস্তানের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে রাজাকার, আলবদররা প্রস্তুত।

চৌরশ অভিযোগঃ ১০ সেপ্টেম্বর যশোরে রাজাকারদের প্রধান কার্যালয়ে এক সুধী সমাবেশে নিজামী প্রত্যেক রাজাকারকে ইমানদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আল্লাহর পথে কেউ কখনো হত্যা করে, কেউ মারা যায়। এসব বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ছাত্রসংঘের সদস্য, রাজাকার ও অন্যদের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের উসকানি ও প্ররোচনা দেন নিজামী।

পঞ্চদশ অভিযোগঃ  একাত্তরের মে মাস থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে রাজাকার ক্যাম্প ছিল। নিজামী প্রায়ই ওই ক্যাম্পে গিয়ে রাজাকার সামাদ মিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করতেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।

ষোড়শ অভিযোগঃ একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ঊষালগ্নে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে আলবদর বাহিনী। দেশের বুদ্ধিজীবী শ্রেণীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আলবদর সদস্যরা ওই গণহত্যা ঘটায়। জামায়াতের তত্কালীন ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ ও আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে ওই গণহত্যার দায় নিজামীর ওপর পড়ে।

প্রতিক্রিয়া

সাজার রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যুনালের বাইরে অপেক্ষমাণ মুক্তিযোদ্ধা, রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানে উপস্থিত জনতা এবং আসামির জেলা পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে উল্লাস প্রকাশ করে।

অন্যদিকে রায়ের প্রতিবাদে নিজামীর দল তিন দিনের হরতাল ঘোষণা করে।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিজামীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, “এ জাজমেন্ট ন্যায়ভ্রষ্ট জাজমেন্ট। আপিলে অবশ্যই এ জাজমেন্ট টিকবে না। আমরা অত্যন্ত সংক্ষুব্ধ। এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করব।”

অন্যদিকে প্রসিকিউটর মো. আলী বলেন, “এই রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আল-বদর বাহিনীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

এ রায়ে সরকার সন্তুষ্ট জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এ রায় দ্রুত কার্যকর করতে সরকার পদক্ষেপ নেবে।

খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রায়ের পর তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘যৌক্তিক কারণে নিজামীর রায় বিলম্বিত হয়েছে। এ রায়ে প্রমাণিত হয়েছে জামায়াতের সঙ্গে সরকারের কোনো আঁতাত নেই।’

গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন ‘গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের অভিযোগগুলোর জন্য নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের প্রত্যাশা ছিল। প্রত্যাশা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এবার অবিলম্বে রায় কার্যকর করতে হবে।’

তবে জামায়াতের জোটসঙ্গী বিএনপি এবারো রায় নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জনায়নি।


প্রধান সংবাদ বিভাগের আরো খবর...
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন
৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা ৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা
বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন
দল মনোনীত ২৩০ জনকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের দল মনোনীত ২৩০ জনকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
স্কুলগুলোর ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ স্কুলগুলোর ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ
‘প্রধানমন্ত্রী সত্যিই আপনি অসাধারণ’ ‘প্রধানমন্ত্রী সত্যিই আপনি অসাধারণ’
গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আবিদের পাশেই চিরশায়িত হবেন স্ত্রী আফসানা আবিদের পাশেই চিরশায়িত হবেন স্ত্রী আফসানা
বর্ণিল উৎসবে অর্জনের উদযাপন বর্ণিল উৎসবে অর্জনের উদযাপন

যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসি
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet