বোমাবাজদের বুঝতে দেওয়া উচিত পোড়ার কি যন্ত্রণা

প্রধানমন্ত্রী শনিবার এনএসআই ২০ তলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেনঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আবারো কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যারা পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মানুষ পোড়াচ্ছে, তাদের হাত পুড়িয়ে দিলে তারা বুঝবে পোড়ার কি যন্ত্রণা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের পেট্রোল বোমায় একজন অন্তঃস্বত্ত্বা মায়ের গর্ভেই তার সন্তান মারা গেছে একথা শুনে আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। যারা বোমা বানায় ও তা ছুঁড়ে মারে, গ্রেফতারের পর তাদের হাত পুড়ে দেয়া উচিত যেন তারা পোড়ার যন্ত্রণা বুঝতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক আঁতেল (তথাকথিত বুদ্ধিজীবী) আমার কথার সমালোচনা করবেন তাদেরকে বলছি, বার্ণ ইউনিটে (হাসপাতাল) গিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্রের সন্ত্রাসীদের নৃশংসতায় আক্রান্তদের কান্না ও দুর্ভোগ দেখে আসুন।

তিনি আজ বিকেলে সেগুনবাগিচায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতরের (এনএসআই) ২০ তলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণকালে একথা বলেন।

বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা প্রথম এনএসআই সদর দফতর পরিদর্শন করেন।

এনএসআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শামসুল হক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন। এসময় মঞ্চে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদক পাচার ও চোরাকারবারীর মতো সমাজ বিরোধী কার্যক্রম রোধে এনএসআই সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের মাটিতে স্থান হবে না।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের স্থান হবে না এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য আমরা আমাদের ভূমি ব্যবহার করতে দেবো না।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনএসআই সদস্যরা সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ‘এ ধরনের সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে আপনাদের কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বিএনপি-জামায়াতের বিগত সরকার সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তারা নিজেরা নিজেদের জন্য কূপ খনন করছে। এটি প্রমাণিত যে, প্রতিবেশী দেশগুলোর ক্ষতির জন্য জঙ্গিদের আশ্রয় ও অস্ত্র সরবরাহ দিলে দেশকে এর জন্য মূল্য দিতে হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাঁর সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। এ অঞ্চলে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে, তা সত্ত্বেও একটি মহল দেশে হীন খেলায় মেতে আছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চায় এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়?

শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের উৎখাতের মাধ্যমে তাঁর সরকার বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ‘এই নীতি গ্রহণ করায় দেশে গত ৬ বছর শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় ছিলো।’


প্রধান সংবাদ বিভাগের আরো খবর...
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন
৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা ৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা
বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা
আ. লীগের যেসব হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পাননি আ. লীগের যেসব হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পাননি
গণফোরামে যোগ দিলেন আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ গণফোরামে যোগ দিলেন আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ
ঘোষণা ছাড়াই মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছে বিএনপি ঘোষণা ছাড়াই মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছে বিএনপি
আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যেসব তারকা আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যেসব তারকা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন
দল মনোনীত ২৩০ জনকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের দল মনোনীত ২৩০ জনকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
স্কুলগুলোর ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ স্কুলগুলোর ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ

বোমাবাজদের বুঝতে দেওয়া উচিত পোড়ার কি যন্ত্রণা
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet