প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।
চলমান আন্দোলন নিয়ে আর্ন্তজািতক সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, “শেখ হাসিনা যতক্ষণ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে এবং নির্বাচন দিতে রাজি না হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশের চলমান সংকটের কোনো সমাধান হবে না।”
বুধবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে দেয়া বেগম জিয়ার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ইরানের প্রেস টিভি এ খবর দিয়েছে।
ওই সাক্ষাতকারে বেগম জিয়া বলেন, “শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাজনৈতিক সংঘাতের অবসান হবে না এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নতুন নির্বাচনের পথ করে দেবে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সচেতন এবং বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ জানে যে, বর্তমান সংকট অবসানের একমাত্র পথ হচ্ছে- অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অর্থবহ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “যত তাড়াতাড়ি এর ব্যবস্থা করা যাবে ততই সবার জন্য মঙ্গল। যদি দেরি করা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরো জটিল হবে।”
সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রধান বেগম জিয়া বলেন, “তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে তিনি এসব বিষয়ে একটি রূপরেখায় পৌঁছাতে চান।”
বেগম জিয়া বলেন, “আমরা বলেছি, সংলাপ এবং সব দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে একটি স্বচ্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। আমরা তা চাই।”
এএফপির খবরে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি ৬৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার ওপর অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি করেছে। গত ৩ জানুয়ারি থেকে তিনি রাজধানীতে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।’
‘সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার অংশ হিসেবে গত ৬ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশব্যাপী পরিবহন অবরোধের ডাক দিয়েছেন। অবরোধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন এবং বহু সংখ্যক বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কার জ্বালিয়ে দেয়া কিংবা ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া বেশকিছু ট্রেন লাইনচ্যুত করা হয়েছে।’