বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনও থানায় পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। এ পরোয়ানা হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছানোর পর আদালত কি নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাজির না হওয়ায় ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার বুধবার সকালে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
খালেদা জিয়া ছাড়াও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে।বুধবার সকালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার চেয়ে পরবর্তীতে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। তবে শুনানির পর এ আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত এবং এ মামলার সাক্ষ গ্রহন ৪ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করে। একই সাথে আগামি ৪ মার্চ এ মামলার অপর আসামি তারেক রহমানকেও হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বকশীবাজার অবস্থিত বিশেষ জজ আদালত-৩ এর পেশকার আরিফ হোসেন বুধবার বিকেল সোয়া চারটায় খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গুলশান থানায় পৌঁছে দেন বলে নিশ্চিত করেন।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার অপর আসামীরা হলেন-খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামীরা হলেন- মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।