পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী

‘সরকার অর্জন করে আর তিনি ধ্বংস করেন’

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণ প্রদান করেন।বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ধ্বংসের রানী আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার অর্জন করে আর তিনি ধ্বংস করেন।”

তিনি বলেন, ‘দেশ যখন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। আর্টিক্যুলেটেড বাসসহ সরকারি বেসরকারি বাস জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছেন।’

প্রধানমন্ত্রী আজ দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণ প্রদানকালেে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার দায়িত্ব নেন। ওই সময় ১ কোটি শরণার্থী, ৩ কোটি গৃহহারা মানুষ, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারসহ নির্যাতিত মানুষের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু। এর ফলে দেশ যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এবং এর পর দেশে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স করে জাতির পিতার হত্যার বিচার রহিত করে খুনীদের পুরস্কৃত করেন। পাশাপাশি মার্শাল ল’ অর্ডিন্যান্স যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে তাদেরকে এদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেন। যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পদে পদায়ন করে। যারা বিদেশে পলাতক ছিল ওইসব যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্ত্রের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান নিজেকে নিজে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। তিনি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাকে খেতাবও দেয়া হয়। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাই যদি হবে তাহলে স্বাধীনতা বিরোধীদের কিভাবে পুরস্কৃত করেন বা ক্ষমতায় বসান। তিনি কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেন এবং যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, এ ধরনের সামরিক কর্মকর্তাসহ অনেককে হত্যা করেছেন, ফাঁসি দিয়েছেন। তিনি আর কেউ নয়, তিনি জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, অবৈধ, হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতা দখলকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে। এ রায় জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। ভবিষ্যতে কেউ যেন জনগণের মৌলিক অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ওয়াদা দিয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর জাতির পিতা হত্যার বিচারে রায় কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজও শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে রায়ও কার্যকর হয়েছে। এতে জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে। এ বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত মিলে অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ এ ষড়যন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করে ভোটের মাধ্যমে এ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় এনেছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ১ বছর ৩ মাস অতিবাহিত হয়েছে। ২০০৮ সালের সংসদ এবং ২০১৪ সালের সংসদের মধ্যে একটি গুণগত পরিবর্তন রয়েছে। ওই বিএনপি বিরোধীদলে ছিল, বিএনপির কিছু সদস্যের অশালীন বক্তব্য তাদের অঙ্গভঙ্গি আচার-আচরণ জাতির কাছে আমাদের মাথা হেড করতো। তখনকার বিরোধীদলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া তিনি সংসদে আসতেন না। সর্বসাকুল্যে তিনি ১০ দিনের মতো সংসদে এসেছিলেন। কিন্তু বক্তব্য দিয়েছেন বেশী। তিনি সংসদকে কোন তোয়াক্কাই করতেন না। অর্থাৎ গণতন্ত্রের প্রতি তার কোন আকাঙ্ক্ষাই ছিল না।

এ পর্যায়ে তিনি বর্তমান বিরোধীদলের নেতাকে নিয়মিত সংসদে আসা এবং সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখন অন্তত খিস্তি-খেউর শুনতে হয় না। অশালীন শব্দ যা ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বাবা-মা বসে টেলিভিশনে শুনতে পারতো না। এধরনের যন্ত্রণা থেকে অন্তত বর্তমান বিরোধীদল জাতিকে মুক্তি দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষের কল্যাণ করা। সংবিধান অনুযায়ী দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। বর্তমান সরকার খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। খাদ্যের জন্য এখন আর হাহাকার নেই।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের দারিদ্র্য মুক্তির লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয়েছে। গড় আয়ু বেড়ে এখন ৭০ বছরে উন্নীত হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ ভাগ হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি কমানো হয়েছে। রিজার্ভ ২৩ বিলিয়নের ওপরে চলে গেছে। দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়ে এখন ২৪ ভাগে এবং হত দরিদ্র ৯ ভাগে নেমে এসেছে। বর্তমান সরকারের সময়ে আরো ১০ ভাগ দারিদ্র্যতা হ্রাস পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য সবচেয়ে আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হলো শিক্ষা। শিক্ষার মানোন্নয়নে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পর্যায়ক্রমে ডিগ্রি পর্যন্ত বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১ কোটি ২৮ লাখ শিক্ষার্থী এখন বৃত্তি পাচ্ছে। এতে ঝরেপড়া কমেছে। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে জানুয়ারির ১ তারিখে বই দেয়া হয়েছে। কিন্তু বই পেয়েও বিএনপি-জামায়াতে তথাকথিত হরতাল-অবরোধের কারণে শিশুরা স্কুলে যেতে পারেনি। তারা শুধু হরতাল-অবরোধ দিয়ে থেমে থাকেনি। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থী সঠিক সময়ে পরীক্ষা দিতে পারেনি। বিএনপি নেত্রীর লক্ষ্যই হচ্ছে দেশকে পিছিয়ে দেয়া।

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণ প্রদান করেন।শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার মোবাইল ফোন সার্বজনীন করেছে। বিএনপি-জামায়াতের সময়ে ১টি মোবাইল ফোনের দাম প্রায় লাখ টাকার মতো ছিল। তখন ফোন করলেও ১০ টাকা, ধরলেও ১০ টাকা দিতে হতো। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার এ মোবাইল ফোন সবার হাতে পৌঁছে দিয়েছে। সকল এনালগ টেলিফোন ডিজিটাল করা হয়েছে। বর্তমানে ৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ৫ হাজারের ওপরে ডিজিটাল সেন্টার চালু করা হয়েছে। ৮ হাজার পোস্ট অফিসকে ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থী গ্রহণ করছে। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বর্তমান সরকারের সময়ে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আনি পুরস্কার আরেকজন আনেন তিরস্কার। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিজিপি নেতা অমিত শাহ এবং ৬ কংগ্রেসম্যানের বিবৃতি নিয়ে মিথ্যাচারের বিষয়টি তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। যে প্রতিবেশী দেশ আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। তাদের সাথে আমরা একটি সদভাব বজায় রাখি। আমরা ছোট দেশ হতে পারি। কিন্তু মর্যাদার দিক থেকে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমরা তাদের সমান। আমরা যখন কথা বলি বা আলোচনা করি তখন সমমর্যাদা নিয়েই বলি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার যেখানে দেশকে এমন একটা মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছে। ঠিক সেই সময় বিএনপি নেত্রী ভারতের একটি দলের প্রধানের ফোন পেয়েছে এ উৎফুল্লতা দেখাতে গিয়ে দেশের মানুষের কাছে এ বার্তা পৌঁছে গেছে। যার কথা বলা হলো তিনি নিজেই বললেন আমার সাথে কথা হয়নি। ‘বিএনপি নেত্রীর কি অধিকার আছে বাংলাদেশের মানুষকে এভাবে অপমান করা বা হেয় করার। তার যদি কারো দালালী করার থাকে তিনি তা করুক। দেশের মানুষকে নিয়ে তিনি এভাবে খেলতে পারেন না।’

শেখ হাসিনা বলেন, তারা শুধু মিথ্যাচারই নয় ঘুষ দেয়ার ব্যাপারেও অত্যন্ত পারদর্শী। আমেরিকার এফবিআই অফিসারকে ঘুষ দেয়ার অপরাধে এক বিএনপি নেতার শাস্তি হয়েছে।

তিনি বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী ও মিতব্যায়ী হতে হবে।

বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের মানুষের উন্নয়নে এবং তাদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে বিএনপি নেত্রী মানুষকে পুড়িয়ে মারছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই। তাই সে ব্যর্থতা আর গ্লানি থেকে তাদের আক্রোসের আগুনে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। অথচ প্রেস কনফারেন্সে একবারও তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেননি। তিনি বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান। কিন্তু এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না।

ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেয়া তাদের এখন লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভূমি অফিস যারা পুড়িয়ে দেয়, গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের বলা হয়েছে তাদের খুঁজে বের করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধে যান না। এমনকি তিনি নিজের পুত্র ও স্বামীর কবর জিয়ারতেও যান না। তিনি দেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করেন না। আর তাই দেশের অগ্রগতিও তিনি সহ্য করতে পারেন না।

শেখ হাসিনা শত নাগরিক কমিটিসহ বেগম খালেদা জিয়ার মানুষ পুড়িয়ে মারার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যিনি মানুষ পুড়িয়ে মারেন তার সাথে তারা কিভাবে যান। বেগম খালেদা জিয়া মানুষ পুড়িয়ে মারেন এটা কি তারা দেখেন না।

রাজধানীর সাথে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা এবং তার আশপাশের জেলায় দ্রুততম সময়ে যাতায়াতের জন্য ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ওভার পাস, মেট্রোরেল প্রকল্পসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীর মানুষকে যানজটমুক্ত এবং উন্নত বিভিন্ন সেবা প্রদানে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য দেশের মানুষ ভাল থাকবে, দেশের মানুষের উন্নতি হবে, দেশের মানুষের জন্যই আমার রাজনীতি, নিজের জন্য নয়। আমার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার জন্য নয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাস করা বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় অবদান। নিম্নবিত্ত মানুষের উন্নয়নে বেশী নজর দেয়া হয়েছে। এর ফলে ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে ওঠে এসেছে। এতে গ্রাম ও শহরের আয় বৈষম্য কমে এসেছে। বাজেট ৩ গুণ বৃদ্ধি করার সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। দেশের উন্নয়নের এসব কথা রাষ্ট্রপতির ভাষণে ওঠে আসায় তিনি রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় ২৩৬ জন সংসদ সদস্য আলোচনা করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদ যে কার্যকর ও সচল এটাই এতে প্রমাণিত হয়। এ সংসদ দেশ ও জাতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ সংসদ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন সংসদ সদস্যের কর্তব্য। তিনি এ দায়িত্ব পালনের জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এদেশের জনগণ সব সময় আমাদের সাথে রয়েছে এবং দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।


অগ্রযাত্রা বিভাগের আরো খবর...
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন
শিরমাল রুটি শিরমাল রুটি
ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ ও বুড়িগঙ্গা ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ ও বুড়িগঙ্গা
৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা ৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা
বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা
আ. লীগের যেসব হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পাননি আ. লীগের যেসব হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পাননি
গণফোরামে যোগ দিলেন আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ গণফোরামে যোগ দিলেন আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ
ঘোষণা ছাড়াই মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছে বিএনপি ঘোষণা ছাড়াই মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছে বিএনপি
আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যেসব তারকা আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যেসব তারকা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন

‘সরকার অর্জন করে আর তিনি ধ্বংস করেন’
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet