সুবহানের ফাঁসির রায়

সুবহানের ফাঁসির রায়মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আব্দুস সুবহানের ফাঁসির আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বুধবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন। অপর দুই বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম।

তার বিরুদ্ধে আনা ৯টি অভিযোগের ৬টি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ১, ৩ ও ৬ নং অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সুবহানের বিরুদ্ধে ১৬৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সংক্ষিপ্ত আকারে পাঠ করা হয়।

জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাস কক্ষে সুবহানের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল-২।

রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে সুবহানের পক্ষে এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, শাহজাহান কবির, শিশির মনির, আসাদ উদ্দিন এবং সুবহানের ছেলে নেছার আহমদ নান্নু ও মুজাহিদুল উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু, জেয়াদ আল মালুম, সুলতান মাহমুদ সীমন, তুরিন আফরোজ, মোহাম্মদ আলী ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী উপস্থিত ছিলেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুবহানকে আদালতের এজলাস কক্ষে আনা হয়। এ সময় তার পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা। তার মাথায় টুপি ছিল।

এর কিছুক্ষণ পর বিচারপতিরা আদালতে প্রবেশ করেন। তারপর চেয়ারম্যান বিচারপতি উপস্থিতদের প্রতি কিছু কথা বলেন। এরপর সুবহানের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা শুরু করেন।

সুবহানের বিরুদ্ধে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ অবস্থায় সিএভিতে রেখে দেন।

গত বছরের ১৭ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৮ কার্যদিবসে সুবহানের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী এ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী।

এর আগে গত বছরের ৫ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত আট কার্যদিবসে সুবহানের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

গত বছরের ৭ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুবহানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন দুই তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও মো. নূর হোসাইনসহ রাষ্ট্রপক্ষের ৩১ জন সাক্ষী।

অপরদিকে সুবহানের পক্ষে ৩ জন সাক্ষী সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনাল নির্ধারণ করে দিলেও তার পক্ষে কেউ সাফাই সাক্ষী দেয়নি।

২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রসহ ৮ ধরনের ৯টি মানবতাবিরোধী অপরাধে সুবহানের বিরুদ্ধেঅভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে সুবহানকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই রাতেই তাকে পাবনা কারাগারে নেওয়া হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয় সুবহানকে।

৩০ সেপ্টেম্বর প্রসিকিউশনের আবেদন আমলে নিয়ে সুবহানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সুবহানের পরিচয় সম্পর্কে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, পাবনার সুজানগর থানার মানিকহাটি ইউনিয়নের তৈলকুণ্ডি গ্রামে জন্ম নেওয়া সুবহান পাকিস্তান আমলে পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমীর এবং সংগঠনটির কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ছিলেন।


প্রধান সংবাদ বিভাগের আরো খবর...
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন
শিরমাল রুটি শিরমাল রুটি
ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ ও বুড়িগঙ্গা ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ ও বুড়িগঙ্গা
৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা ৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী যারা
বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে অন অ্যারাইভাল ভিসা
আ. লীগের যেসব হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পাননি আ. লীগের যেসব হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পাননি
গণফোরামে যোগ দিলেন আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ গণফোরামে যোগ দিলেন আ’লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ
ঘোষণা ছাড়াই মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছে বিএনপি ঘোষণা ছাড়াই মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছে বিএনপি
আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যেসব তারকা আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যেসব তারকা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন

সুবহানের ফাঁসির রায়
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet